হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র হল ১৬ শব্দের একটি মন্ত্র যা চৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষণের মাধ্যমে ভক্তি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মন্ত্রটি পরম সত্তার তিনটি সংস্কৃত নাম দ্বারা রচিত; "হরে," "কৃষ্ণ," এবং "রাম।
শ্রীশ্রীনাম মহাযজ্ঞের শুভ অধিবাস কীর্তন
জয়রে জয়রে গোরা শ্রীশচীনন্দন, মঙ্গল নটন সুঠাম। (শুভ অধিবাস) সংকীর্তন আনন্দে, শ্রীবাস রামানন্দে মুকুন্দ বসু রূপবান রে। দ্রাং দ্রাং দ্রিমি দ্রিমি মৃদঙ্গ বাজত (বাজে) মধুর মন্দিরা রসাল রে।। শঙ্খ করতাল, ঘণ্টারব ভেল, মিলল পদতলে তাল রে।। (তখন) কো দেই গোরা অঙ্গে সুগন্ধি চন্দন, কো দেই মালতী মাল রে।। পীরিত ফুলশরে, মরম ভেদল, ভাবে সহচর ভোর রে।। কোই কহত গোরা, জানকী বল্লভ? রাধার প্রিয় পাঁচবাণ রে। (ঠাকুর) নয়নানন্দের মনে, আন নাহি জানে, আমার গদাধরের প্রাণ রে।। (মাতন)। একদিন পঁছ আসি, অদ্বৈত মন্দিরে বসি, বলিলেন শচীর কুমার রে।। নিত্যানন্দ করি সঙ্গে, অদ্বৈত বসিয়া রঙ্গে, মহোৎসবের করিলা বিচার রে।। (তাই) শুনিয়া আনন্দে ভাসি, সীতা ঠাকুরাণী হাসি, কহিলেন মধুর বচন রে। তা শুনি আনন্দ মনে, মহোৎসবের বিধানে, কহে কিছু শচীর নন্দন রে।। শুন ঠাকুরাণী সীতা, বৈষ্ণব আনিয়ে হেথা, আমন্ত্রণ করিয়া যতনে। যেবা গায়, যেবা বায়, আমন্ত্রণ করি তায়, পৃথক পৃথক জনে জনে।। এত বলি গোরারায়, আজ্ঞা দিলা সবাকায়, বৈষ্ণব করহ আমন্ত্রণ। খোল করতাল লৈয়া, অগুরু চন্দন দিয়া, পূর্ণ ঘট করহ স্থাপন।। আরোপণ করি কলা, তাহে দাও ফুলমালা, কীর্তনমণ্ডলী কুতুহলে। সুমাল্য চন্দন গুয়া, ঘৃত, মধু, দধি দিয়া, খোল মঙ্গল সন্ধ্যাকালে।। শুনিয়া প্রভুর কথা, প্রীতে বিধি কৈল যথা, নানা উপহার গন্ধ-বাসে। সবে হরি হরি বলে, খোলমঙ্গল করে, পরমেশ্বর দাস রসে ভাসে।।
নানাদ্রব্য আয়োজন, করি করে নিমন্ত্রণ, কৃপা করি কর আগমন। ওহে বৈষ্ণব গোঁসাই, ঠাকুরের ঠাকুর বৈষ্ণব গোঁসাই, তোমরা বৈষ্ণবগণ, মোর এই নিবেদন (ওহে বৈষ্ণব গোঁসাই) দৃষ্টি করি কর সমাপন।। করি এত নিবেদন, আনিল মহান্তগণ, কীর্তনের করি অধিবাস। অনেক ভাগ্যের ফলে, বৈষ্ণব আসিয়া মিলে। (আখর) অল্প ভাগ্যে হয় না, ঠাকুর বৈষ্ণবের আগম, আগে রম্ভা আরোপণ, পূর্ণঘট স্থাপন, আম্রপল্লব সারি সারি। দ্বিজ বেদধ্বনি করে, নারীগণ জয়কারে, আর সবে বলে হরি হরি।। দধি, ঘৃত, মঙ্গল, করি সবে উতরোল, করয়ে আনন্দ পরকাশ। আনিয়া বৈষ্ণবগণ, দিয়া মালা চন্দন, কীর্তন মঙ্গল অধিবাস।। সবার আনন্দঘণ, বৈষ্ণবের আগমন, কালি হবে চৈতন্য কীর্তন। শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য নাম, শ্রীনিত্যানন্দ রাম, গুণ গায় দাস বৃন্দাবন।।
জয় জয় নবদ্বীপ মাঝ। গৌরাঙ্গের আদেশ পাঞা, ঠাকুর অদ্বৈত যাঞা, করে খোল মঙ্গলের সাজ।। আনিয়া বৈষ্ণব সব, হরিবোল কলরব, মহোৎসবের করে অধিবাস। আপনে নিতাই ধন, লই মালাচন্দন, করে প্রিয় বৈষ্ণব সম্ভাষ।। গোবিন্দ মৃদঙ্গ লৈয়া, বাজায় তাতা থৈয়া থৈয়া, করতালে অদ্বৈত চপল। হরিদাস করে গান, শ্রীবাস ধরয়ে তান, নাচে গোরা কীর্তন মঙ্গল।। চৌদিকে বৈষ্ণবগণ, হরি বলে ঘন ঘন, কালি হবে কীর্তন মহোৎসব। আজি খোল মঙ্গলি, রাখিয়ে আনন্দ করি, বংশী বলে দেহ জয় রব।।
You May Like Also Also Like This
0 Comments