-->

ছোটদের জন্য রামায়ণ গল্প

রামায়ণ: এক মহৎ গল্প

অনেক দিন আগে, অযোধ্যা নামে একটি রাজ্যে রাজা দশরথ শাসন করতেন। তাঁর চার ছেলে ছিলেন – রাম, লক্ষ্মণ, ভরত, এবং শত্রুঘ্ন। রামের মা কৌশল্যা ছিলেন অত্যন্ত স্নেহশীলা। রাম ছিলেন সবার প্রিয়, কারণ তিনি সত্যবাদী, বিনম্র, এবং সাহসী ছিলেন।


একদিন রাজা দশরথ ঘোষণা করলেন, তিনি রামকে রাজা করবেন। কিন্তু রামের সৎমা কৈকেয়ী চেয়েছিলেন, তাঁর ছেলে ভরত রাজা হোক। তিনি রামকে ১৪ বছরের জন্য বনবাসে পাঠানোর জন্য রাজাকে বাধ্য করলেন। রাম সব কিছু মেনে নিয়ে নিজের স্ত্রী সীতা ও ভাই লক্ষ্মণকে নিয়ে বনে চলে গেলেন।

---

রাম, সীতা ও লক্ষ্মণের বনবাস


বনের মধ্যে তাঁরা খুশি মনে জীবন কাটাচ্ছিলেন। কিন্তু একদিন রাক্ষস রাজার ছোট বোন শূর্পণখা সীতা ও রামের প্রতি খারাপ চিন্তা করেছিল। লক্ষ্মণ তাকে তাড়িয়ে দেন। শূর্পণখা রাক্ষস রাজা রাবণকে এই ঘটনার কথা জানান।


রাবণ শীঘ্রই সীতাকে অপহরণ করেন এবং লঙ্কায় নিয়ে যান। রাম ও লক্ষ্মণ সীতাকে খুঁজতে শুরু করেন। পথে তাঁরা হনুমান ও তাঁর বানর সেনার সাথে বন্ধুত্ব করেন। হনুমান ছিলেন অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ভগবান শিবের ভক্ত।

---


রাম-রাবণের যুদ্ধ

হনুমান রাবণের লঙ্কায় যান এবং সীতাকে খুঁজে পান। রাম ও লক্ষ্মণ বানর সেনার সাহায্যে লঙ্কায় যান। সেখানে রাম ও রাবণের মধ্যে ভয়ংকর যুদ্ধ হয়। রামের তীর রাবণকে পরাজিত করে। সীতাকে উদ্ধার করে তাঁরা অযোধ্যায় ফিরে আসেন।


---


অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন

রাম, সীতা ও লক্ষ্মণ যখন অযোধ্যায় ফিরে আসেন, তখন সারা রাজ্য প্রদীপ জ্বালিয়ে তাঁদের স্বাগত জানায়। এই ঘটনাই দীপাবলির উৎসবের মূল গল্প।

---


শিক্ষা:


1. সত্য ও ধর্মের পথ কখনো ছেড়ে যাওয়া উচিত নয়।

2. প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ধৈর্য ধরে লড়াই করতে হয়।

3. বন্ধুত্ব এবং দলবদ্ধভাবে কাজ করলে সব সমস্যার সমাধান হয়।


---

এই গল্প ছোটরা সহজে পড়তে ও শিখতে পারবে। এতে নৈতিক 

শিক্ষার পাশাপাশি রামায়ণের মূল বিষয়ও বোঝানো সম্ভব।


You May Like Also Also Like This

Post a Comment

0 Comments


Advertisement