সৎসঙ্গ হচ্ছে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কর্তৃক প্রবর্তিত একটি ধর্মীয় আন্দোলন। এর আদর্শ হচ্ছে - ধর্ম কোনো অলৌকিক ব্যাপার নয় বরং বিজ্ঞানসিদ্ধ জীবন সূত্র; ভালোবাসাই মহামূল্য, যা দিয়ে শান্তি কেনা যায়।
সৎসঙ্গের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সার কথা
- মনুষ্য-জীবনের সময়কে অমূল্য এবং ক্ষণিক মনে করে তা সর্বোত্তম কাজে ব্যয় করা উচিত। একটি মুহূর্তও বৃথা নষ্ট করা উচিত নয়।
- যদি কোনো কারণবশত কখনও কোনো মুহূর্ত ভগবদ্-চিন্তন ব্যতীত ব্যয় হয়ে যায় তবে তার জন্য পুত্রশোকের চেয়েও তীব্র অনুতাপ করা উচিত যাতে ভবিষ্যতে এমন ভুল আর না হয়।
- যার সময় বৃথা ব্যয় হয়, সময়ের মূল্যই সে বোঝেনি।
- মানুষের কখনও নিষ্কর্মা হয়ে থাকা উচিত নয়, সদা-সর্বদা সর্বোত্তম কাজ করে যাওয়া উচিত।
- মনের দ্বারা ভগবানের চিন্তন, বাক্যের দ্বারা ভগবানের নাম-জপ, শরীর দ্বারা সকলকে নারায়ণ-জ্ঞানে নিঃস্বার্থ সেবা এই হল সর্বোত্তম কাজ ।
- কথা বলার সময় সত্য, প্রিয়, স্বল্প এবং হিতযুক্ত তথা শাস্ত্রসম্মত বাক্য বলা উচিত।
- নিজের দোষ শুনে চিত্তে প্রসন্নতা হওয়া উচিত।
- যদি কেউ আমার দোষ প্রমাণিত করে, তবে সে জন্য আমার যথাসম্ভব সাফাই না দেওয়া উচিত, কেননা সাফাই দিলে দোষসমূহ পরিপক্ব হয় এবং যে দোষ দেখিয়ে দেয় তার চিত্তে ভবিষ্যতের জন্য অন্তরায়ের সৃষ্টি হয়। এর ফলে আমরা নির্দোষ হতে পারি না।
- যদি আমি নির্দোষ হই তবে দোষের কথা শুনেও আমার মৌন থাকা উচিত। এতে আমার কোনো ক্ষতি হবে না এবং যদি দোষ থাকে তাহলে তা সংশোধন করা উচিত।
- যে দোষ দেখিয়ে দেয় তাঁকে গুরুতুল্য শ্রদ্ধা করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতেও দোষ বলতে তার উৎসাহ বজায় থাকে।
- নিকট-সম্পর্কীয় লোকের দোষ সহসা তাকে বলা উচিত নয়। এরূপ করলে তার দুঃখ হতে পারে, ফলে সে শোধরাতে পারে না।
- যদি কখনও কারো দ্বারা কোনো কাজ করানোর প্রয়োজন হয় তবে তাকে ডেকে না পাঠিয়ে নিজে তার কাছে যাওয়া উচিত।
0 Comments