রাধা গোবিন্দ বিশেষত হিন্দু ধর্মে একটি পরিচিত ধার্মিক অনুষ্ঠানের নাম। এটি হিন্দু ধর্মের অন্যতম একটি প্রমুখ রসলীলা যা শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার মধুর প্রেম বিষয়ে পরিচালিত।
মূলত, রাধা ও গোবিন্দ হলো হিন্দু ধর্মের দেবী-দেবতা, যারা কৃষ্ণচন্দ্রের মধ্যে অবিভাজ্য অন্তর প্রকাশ করেন। রাধা হলো প্রেমের প্রতীক এবং বিশেষত পবিত্র প্রেমের উদাহরণ, আর গোবিন্দ হলো রাধার প্রিয় অংশ.
রাধা গোবিন্দ এবং শ্রীগৌরহরির মধ্যাহ্নকালে ভোগ আরতি কীর্তন
ভজভকতবৎসল-শ্রীগৌরহরি।
শ্রীগৌরহরি সোহি গোষ্ঠবিহারী,
নন্দ-যশোমতী-চিত্তহারী।।
বেলা হ'ল দামোদর আইস এখন।
ভোগ মন্দিরে বসি করহ ভোজন।।
নন্দের নির্দেশে বৈসে গিরিবর ধারী।
বলদেব সহ সখা বৈসে সারি সারি।।
শুক্তা-শাকাদি ভাজি নালিতা কুষ্মাণ্ড।
ডালি ডালনা দুগ্ধতুম্বি দধি মোচাখণ্ড।।
মুঙ্গবড়া মাষবড়া রোটিকা ঘৃতান্ন।
শকুল পিষ্টক ক্ষীর পুলি পায়সান্ন।।
কপূর অমৃতকেলি রম্ভা ক্ষীরসার।
অমৃত রসাল অম্ল দ্বাদশ প্রকার।।
লুচি চিনি সরপুলী লাড্ডু রসাবলী।
ভোজন করেন কৃষ্ণ হয়ে কুতূহলী।।
রাধিকার পক্ক অন্ন বিবিধ ব্যঞ্জন।
পরম আনন্দে কৃষ্ণ করেন ভোজন।।
ছলে বলে লাড্ডু খায় শ্রীমধুমঙ্গল।
বগল বাজায় আর দেয় হরিবোল।।
রাধিকাদিগণে হেরি নয়নের কোণে।
তৃপ্ত হয়ে খায় কৃষ্ণ যশোদা ভবনে।।
ভোজনাস্তে দিয়ে কৃষ্ণ সুবাসিত বারি।
সবে মুখ প্রক্ষালার হয়ে সারি সারি।।
হস্ত মুখ প্রক্ষালিয়া যত সখাগণে।
আনন্দে বিশ্রাম করে বলদেব সনে।।
জাম্বুল রসাল আনে তাম্বুল মশালা।
তাহা খেয়ে কৃষ্ণচন্দ্র সুখে নিদ্রা গেলা।।
বিশালাক্ষ শিখিপুচ্ছ চামর চুলায়।
অপূর্ণ শয্যায় কৃষ্ণ সুখে নিদ্রা যায়।।
যশোমতী আজা পেয়ে ধনিষ্ঠা-আনীত।
শ্রীকৃষ্ণ প্রসাদ রাধা ভুঞ্জে হয়ে প্রীত।।
ললিতাদি সখীগণ অবশেষ পায়।
মনে মনে সুখে রাধাকৃষ্ণ গুণ গায়।।
হরিলীলা একমাত্র যাঁহার প্রমোদ।
ভোগারতি গায় সেই ভকতি বিনোদ।।
You May Like Also Also Like This
0 Comments