রন্দোঁ শচী জগন্নাথ মিশ্র পুরন্দর।
যাঁহার নন্দন বিশ্বরূপ বিশ্বম্ভর।
বন্দনা করিব বিশ্বরূপ ধন্য ধন্য।
চৈতন্য-অগ্রজ নাম শ্রীশঙ্করারণ্য ।।
বন্দিব সে মহাপ্রভু শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য।
পতিত পাবন অবতার ধন্য ধন্য।
বন্দোঁ লক্ষ্মী ঠাকুরানী আর বিষ্ণুপ্রিয়া।
গদাধর পণ্ডিত গোসাঞি বন্দনা করিয়া ৷৷
বন্দোঁ পদ্মাবতী দেবী, হাড়াই পণ্ডিত।
যাঁর পুত্র নিত্যনন্দ অদ্ভুত-চরিত ।।
দয়ার ঠাকুর বন্দোঁ শ্রীনিত্যানন্দ।
যাঁহা হইতে নাটে গীতে সভার আনন্দ।
বসুধা জাহ্নবী বন্দোঁ দুই ঠাকুরাণী।
যাঁর পুত্র বীরভদ্র জগতে বাখানি ৷৷
শ্রীবীরভদ্র গোসাঞি বন্দিব সাবধানে।
সকল ভূবন বশ যাঁর আচরণে ॥
শ্রী বৈষ্ণব বন্দনা -৩
ধন্য অবতার গোরা ন্যাসি-শিরোমণি।
এমন সুন্দর নাম কোথাও না শুনি।
সাবধানে বন্দো আগে মাধবেন্দ্রপুরী।
বিষ্ণুভক্তি-পথের প্রথম অবতরি।
আচার্য্য গোসাঞি বন্দোঁ অদ্বৈত ঈশ্বর।
যে আনিল মহাপ্রভু ভূবণ ভিতর।
সীতা ঠাকুরাণী বন্দোঁ হঞা একমন।
অচ্যুতানন্দাদি বন্দো তাঁহার নন্দন ।।
পুণ্ডরিক বিদ্যানিধি ভক্ত-চূড়ামণি।
যাঁর নাম লয়ে প্রভু কাঁদিলা আপনি ॥
বন্দিব শ্রীশ্রীনিবাস ঠাকুর পণ্ডিত।
নারদ-খেয়াতি যাঁর ভূবন বিদিত।।
ভক্তি করি বন্দিব মালিনী ঠাকুরানী।
শ্রীমুখে গৌরাঙ্গ যাঁরে বলিলা জননী।
শ্রীনারায়ণী দেবী বন্দিব সাবধানে।
আলবাটী প্রভু যাঁরে করিলা আপনে।।
হরিদাস ঠাকুর বন্দো বিরক্ত প্রধান।
দ্রব্য দিয়া শিশুরে লয়াইলা হরিনাম।
গোপীনাথ ঠাকুর বন্দো জগত-বিখ্যাত।
প্রভুত স্তুতিপাঠে যেই ব্রহ্মা সাক্ষাত ।।
বন্দিব মুরারি গুপ্ত ভক্তি-শক্তিমন্ত।
পূর্ব্ব-অবতারে যাঁর নাম হনুমন্ত ।।
শ্রীচন্দ্রশেখর বন্দোঁ মহিমা-অপার।
আচার্য্যরত্ন বলি যাঁর খ্যাতি নিরমল ।।
গোবিন্দ গুরুড় বন্দোঁ মহিমা-অপার।
গৌর পদে ভক্তিদ্বারে যাঁর অধিকার ।।
বন্দিব অন্বষ্ট নাম শ্রীমুকুন্দ দত্ত।
গন্ধর্ব জিনিয়া যাঁর গানের মাহাত্ম্য।।
শ্রীগোবিন্দদাস বন্দোঁ বড় শুদ্ধভাবে।
উৎকলে যাঁহারে প্রভু রাখিলা সমীপে।
বন্দো মহানিরীহ পণ্ডিত দামোদর।
পীতাম্বর বন্দো তাঁর শ্রেষ্ঠ সহোদর।।
বন্দিব শ্রীজগন্নাথ শঙ্কর, নারায়ণ।
বড় উদাশীন এই ভাই পঞ্চজন।
বন্দো মহাশয় চক্রবর্তী নীলাম্বর।
প্রভুর ভবিষ্য যেহ কহিলা সত্বর।
শ্রীরাম পণ্ডিত বন্দো গুপ্ত নারায়ণ।
বন্দোঁ গুরু বিষ্ণু গঙ্গাদাস সুদর্শন।
বন্দোঁ সদাশিব আর শ্রীগর্ভ শ্রীনিধি।
বুদ্ধিমত্ত খাঁন বন্দ আর বিদ্যানিধি।।
বন্দিব ধার্মিক ব্রহ্মচারী শুক্লাম্বর।
প্রভু যাঁরে দিল নিজ প্রেমভক্তিবর।।
নন্দন আচার্য্য বন্দেী লেখক বিজয়।
বন্দো রামদাস কবিচন্দ্র মহাশয় ॥
শ্রী বৈষ্ণব বন্দনা -৪
নাস্তিকতা অপধর্ম জুড়িল সংসার।
কৃষ্ণপূজা কৃষ্ণভক্তি নাহি কোথা আর॥
দেখিয়া অদ্বৈত প্রভু বিষাদিতা হৈলা।
কেমনে তরিবে জীব ভাবিতে লাগিলা॥
নেত্র বুজি তুলসী প্রদানি বিষ্ণুপদে।
হুঙ্কারি দিলেন লম্ফ আচার্য্য আহ্লাদে ॥
জিতিলু জিঁতিলু মুখে বলে বার বার।
জীব নিস্তারিতে হবে গৌর অবতার।
এ কথা শুনিয়া নাচে সাধু হরিদাস।
লোচন বলে খসিল জীবের মোহ পাশ৷৷
শ্রী বৈষ্ণব বন্দনা -৫
জয় জয় অদ্বৈত আচার্য্য দয়াময়।
যাঁর হুহুঙ্কারে গৌর অবতার হয়।
প্রেমদাতা সীতানাথ করুণা সাগর।
যাঁর প্রেমরসে আইলা ব্রজের নাগর।
যাহারে করুণা করি কৃপা দিতে চায়।
প্রেম রসে সে-জন চৈতন্য গুণ গায়।
তাঁহার পদেতে যেবা লইল শরণ।
সে জন পাইল গৌর প্রেম মহাধন।
এমন দয়ার নিধি কেন না ভজিলু।
লোচন বলে নিজ মাথে বজর পাড়িलूँ ॥.
0 Comments