এই ব্রতে রম্ভা নামের একটি দেবীর পূজা করা হয়। ব্রত ধারণ করা হলে আমন্ত্রণ করে সকল স্ত্রী-সম্প্রদায়ের মহিলারা একসাথে একটি ঘরে উঠে দেবীর পূজা করে থাকেন। এই ব্রতে সাধারণত পদ্মা পাত্র, কুমড়া আর আমপানি দিয়ে পূজা করা হয়।
এই ব্রতটি উন্নয়নে কোন বিশেষ রীতি-নীতি অনুসরণ করা হয় না। সাধারণত মহিলাদের মধ্যে নৈতিকতা ও সংস্কৃতি বিকাশের উদ্দেশ্যে এই ব্রতটি অনুষ্ঠিত হয়।
রম্ভা-তৃতীয়া ব্রত
একদিন ব্রহ্মা দেবর্ষি নারদকে বললেন, হে নারদ! রম্ভা তৃতীয়া ব্রতের কথা বলছি শোন। এই ব্রত করলে সৌভাগ্যসহ স্ত্রী-পুত্র লাভ হয়ে থাকে। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়াতে এই ব্রত আরম্ভ করে এক বছরে এই ব্রত সম্পূর্ণ করতে হয়।
জ্যৈষ্ঠ মাসে বারায়ণ নামে দেবীর পুজো করবে, এতে সৌভাগ্যপ্রাপ্তি হয়। আষাঢ় মাসে লবঙ্গফুলে মাধবী নামে দেবীর পুজো করবে, এতে শোননাশ হয়। শ্রাবণ মাসে টগরফুলে শ্রী নামে দেবীর পুজো করবে, এতে ধন-ধান্য বৃদ্ধি হয়। ভাদ্র মাসে পদ্মফুলে বিমলা নামে দেবীর পুজো করবে, এতে সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হয়। আশ্বিন মাসে জবাফুলে নগনন্দিনী নামে দেবীর পুজো করবে, এতে পাপনাশ হয়। কার্তিক মাসে জাতিফুলে পদ্মজা নামে দেবীর পুজো করবে, এতে ভব-ভয় দূর হয়। অগ্রহায়ণ মাসে বেলপাতা দিয়ে উমা নামে দেবীর পুজো করবে, এতে সর্বসৌভাগ্য লাভ হয়। পৌষ মাসে কুরুবকফুলে গিরিজা নামে দেবীর পুজো করবে, এতে পুত্র-পৌত্রাদি জন্মে। মাঘ মাসে করার ফুলে সুভদ্রা নামে দেবীর পুজো করবে, এতে সৌন্দর্যাবৃদ্ধি হয়। ফাল্গুন মাসে কুন্দফুলে গোমতী নামে দেবীর পুজো করবে, এতে দীর্ঘায়ু হওয়া যায়। চৈত্র মাসে দমনকফুলে বিশালাক্ষী নামে দেবীর পুজো করবে, এতে পশু সম্পত্তি লাভ হয়। বৈশাখ মাসে ডর্ণিকাফুলে অশোকা নামে দেবীর পুজো করবে, এতে দেহান্তে দেবীলোকে গতি হয়ে থাকে। এইভাবে বিভিন্ন ফুলে বিভিন্ন নামে দেবীর পুজো করে বছর পূর্ণ হলে সোনার উমা-মহেশ্বর মূর্তি পুজো করে ব্রাহ্মণ ও কুমারীদের পুজো এবং দক্ষিণা মানে সন্তুষ্ট করতে হয়।
0 Comments