-->

গীতার ১৮ টি নামের মাহাত্ব্য. Bhagavad Gita

ভগবদ্গীতা ( Bhagavad Gita - ভগবানের গান) বা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বা গীতা একটি ৭০০-শ্লোকের ধর্মগ্রন্থ। সাতশত শ্লোকের একটি গ্রন্থ বিধায় একে সপ্তশতী বলে। এটি প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারত-এর একটি অংশ। গীতা একটি স্বতন্ত্র ধর্মগ্রন্থ তথা একটি পৃথক শাস্ত্র এর মর্যাদা পেয়ে থাকে। হিন্দুরা গীতা-কে ভগবানের মুখনিঃসৃত বাণী মনে করেন। মানবধর্ম, দর্শন ও সাহিত্যের ইতিহাসে গীতা এক বিশেষ স্থানের অধিকারী। গীতা-র কথক কৃষ্ণ হিন্দুদের দৃষ্টিতে ঈশ্বরের অবতার পরমাত্মা স্বয়ং। তাই গীতা-য় তাকে বলা হয়েছে "শ্রীভগবান"।



গীতার ১৮ টি নামের মাহাত্ব্য.

  1. গঙ্গা - এর অর্থ হল, গঙ্গায় ডুব দিলে কোন ব্যাক্তি তার সকল পাপ নাশ করতে পারে ।তাই সবার প্রথমে গঙ্গার নাম নেয়া হয়।
  2. গীতা -যে ব্যাক্তি গীতাপাঠ করেন সেই মুহুর্তেই তার সকল পাপ নাশ হয় । তাই এখানে গীতার কথা বলা হয়েছে।
  3. সাবিত্রী -তিনি এতটাই সতী ছিল যে, সে তার মৃত স্বামীর প্রান ফিরিয়ে এনেছিল। তাই এখানে সাবিত্রীর কথা বলা হয়েছে।
  4. সীতা -ভগবান রামের স্ত্রী ,মাতা সীতা এতটাই পবিত্র ছিল যে, রাবণ শত চেষ্টার পরেও তা নষ্ট করতে পারেনি। তাই সীতা নাম মহাপবিত্র বলা হয় ।
  5. সত্যা-সত্যা বলতে আমাদের আত্মার কথা বলা হয়েছে।আত্মা যেমন আমর গীতাও তেমনি অমর।
  6. পতিব্রতা -পতিব্রতা বলতে ভগবানের প্রতি আনুগত্য থাকা।কারন একমাত্র ভগবান সকলের পতি আর আমরা সকলেই তার পত্নী।
  7. ব্রহ্মাবলী -ব্রহ্মশক্তী থেকে নির্গত শক্তীকে বলাহয় ব্রহ্মাবলী।যে শক্তীর বিনাশ নেই।
  8. ব্রহ্মবিদ্যা-ব্রহ্মবিদ্যাকে আমরা ব্রহ্মাবলীর অনুরুপ বলতে পারি।
  9. ত্রিসন্ধ্যা - ত্রিসন্ধ্যা মানে হল তিন কালের সমষ্ঠী যথা,ইহকাল, বর্তমান কাল ও পরকাল।
  10. মুক্তিগ্রিহীনি-গীতাপাঠ করলেই মুক্তি পওয়া সম্ভব।তাই এই নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
  11. অর্ধমাত্রা-গীতায় ভগবান বলেছেন গীতা তার অর্ধক তাই এই অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে।
  12. চিতানন্দা- চিৎ জগতের যে আনন্দ তাই চিরানন্দা।
  13. ভবগ্নী-(ভব+অগ্নি) অগ্নি যেমন সোনা পুরে খাঁটি সোনায় পরিবর্তন করে। ঠিক তেমনি গীতাই পারে আমাদের ভবপুরের সকল পাপ দুর করতে।
  14. ভ্রান্তি নাশিনী- আমরা আমাদের চারপাশের জিনিস দেখে বিভ্রান্ত হই। আর একমাত্র গীতাই পারে আমাদের এই ভ্রান্তি নাশ করতে।
  15. বেদত্রয়ী- ত্রিবেদের সমান্যয়ে গঠীত শক্তিই হলো বেদত্রই।
  16. পরানন্দা - অপরের দোষ না দেখে তার ভাল দিক দেখার মধ্যে যে আনন্দ।গীতায় তার কথাই বলা হয়েছে।
  17. তত্ত্বার্থ-জ্ঞানমঞ্জুরী - গীতা পৃথিবীর সকল জ্ঞান তথা বিজ্ঞানের আধার। তাই একে জ্ঞানমঞ্জুরী বলা হয়েছে।
  18. তত্ত্বার্থ-জ্ঞানমঞ্জুরী - গীতা পৃথিবীর সকল জ্ঞান তথা বিজ্ঞানের আধার। তাই একে জ্ঞানমঞ্জুরী বলা হয়েছে।
  19. `জয় গীতা।।
You May Like Also Also Like This

Post a Comment

0 Comments


Advertisement