বাণী ( baṇi ) কথার অর্থ কথা বা উক্তি (আকাশবাণী, দৈববাণী)। এছারাও বানী বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয় যেমন - উপদেশপূর্ণ বা স্মরণীয় উক্তি (কবির বাণী, মহাপুরুষের বাণী), (ব্যঙ্গে) বড়ো বড়ো কথা, গালভরা কথা (তোমার বাণী এবার থামাও), সরস্বতী দেবী (বাণীর আরাধনা)। ইত্যাদি।
ভগবান শ্রী কৃষ্ণের অমৃত বাণী
১)জ্ঞানীর নিকট সত্যই পরম ধর্ম।
২)দুর্বলই কেবল ভাগ্যের দোষারোপ করে আর বীর ভাগ্যকে অর্জন করে।
৩)গোদান করে দড়ির উপর মায়া রেখে কি লাভ ?যখন মোহ ত্যাগ করবে, তখন নিঃস্বার্থভাবে ত্যাগ করবে।
৪)যে ব্যক্তি কৃষ্ণভাবনায় যুক্ত নয়, তার মন সংযত নয়।
৫)সকলেই সর্বতোভাবে আমার পথ অনুসরণ করো।
৬)আমি সর্বলোকের মহেশ্বর (মহা+ঈশ্বর)।
৭)আমিই সমস্ত জগতের উৎপত্তি ও প্রলয়ের মূল কারণ।
৮)আমার থেকে শ্রেষ্ঠ আর কেউই নেই।
৯)পরমাত্মারূপে আমি সকলের হৃদয়ে বিরাজ করি।
১০)পরমেশ্বর ভগবান রূপে আমি অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে সম্পূূর্ণরূপে অবগত।
১১)আমাকে প্রাপ্ত হলে আর পুনজন্ম হয় না।
১২)সর্বশ্রেষ্ঠ পরমেশ্বর ভগবানকে অনন্য ভক্তির মাধ্যমেই কেবল লাভ করা যায়।
১৩)অব্যক্ত রূপে আমি সমস্ত জগতে ব্যাপ্ত আছি।
১৪)শোকের চেয়ে বড় নাশকতা আর কিছু নেই, শোক মানুষের সব শক্তিকেই নষ্ট করে দেয়, তাই শোক করো না।
১৫)ব্যবহার ও চরিত্রেই বংশের পরিচয় হয়।
১৬) মিথ্যাবাদী ব্যক্তি সর্পের চেয়েও ভয়ঙ্কর।
১৭)সত্যই এ জগতের নিয়ন্ত্রক, সত্যেই ধর্ম প্রোথিত হয়ে আছে।
১৮)মাতৃঋণ কোন সন্তানই কখনো শোধ করতে পারে না।
১৯)শেকড়হীন বিশাল বৃক্ষও যেমন সত্বরই নির্জীব হয়ে পডরে, ঠিক তেমনি নিরীহের ক্ষতিকারী শত শক্তিশালী হলেও সমূলে পতিত হয়।
২০)আমি নিজেই সমস্ত সৃষ্টির উৎস।
২১)এই জগৎ আমারই প্রকৃতির অধীন।
২২)আমিই এই জগতের পিতা।
২৩)আমিই এই জগতের বিধাতা (সৃষ্টিকর্তা) ।
২৪)আমি সকলের গতি।
২৫)আমি তাপ প্রদান করি এবং আমি বৃষ্টি বর্ষণ করি ও আকর্ষণ করি।
২৬)আমিই সমস্ত যজ্ঞের ভোক্তা ও প্রভু।
২৭)আমি সকলের প্রতি সমভাবাপন্ন।
২৮)সব কিছু আমার থেকে প্রবর্তিত হয়।
২৯)মনুষ্যদের মধ্যে আমি সম্রাট।
৩০)অব্যয় অমৃতের, শাশ্বত ধর্মের এবং ঐকান্তিক সুখের আমিই আশ্রয়।
৩১)আমিই সমস্ত বেদের জ্ঞাতব্য এবং আমিই বেদান্তকর্তা ও বেদবিৎ।
৩২)বেদে আমি পুরুষোত্তম নামে বিখ্যাত।
৩৩)সর্ব প্রকার ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল আমার শরনাগত হও।
0 Comments