Vaikuntha Chaturdashi (বৈকুন্ঠ চতুর্দশী) is a Hindu holy day, which is observed on chaturdashi, the 14th lunar day of the waxing moon fortnight (shukla paksha) of the Hindu month of Kartik (November–December). The day is sacred to the deities Vishnu and Shiva. They are worshipped individually or together in different temples in Varanasi, Rishikesh, Gaya and Maharashtra.
বৈকুন্ঠ চতুর্দশী ব্রত
ব্রতের নিয়ম : কার্ত্তিক মাসের শুক্লা চতুর্দশীর দিন এই ব্রত পালন করতে হয়। এই ব্রত পালনের জন্য ব্রতীকে সারা দিন উপবাসী থেকে পূর্ব রাত্রের সায়ংকালে প্রথমে বিষ্ণুকে পূজা করতে হয় তারপর হর অর্থাৎ মহাদেবকে পূজা করতে হয়।
ব্রতকথা ঃ ব্রহ্মা নারদকে এই ব্রত মাহাত্ম্য কথা বলেন। তিনি বলেন যে সত্যযুগে কার্তিক মাসের শুক্লা চতুর্দশীর দিন শ্রীবিষ্ণু নিজে বৈকুণ্ঠ থেকে কাশীতে যান এবং সেখানে সেই রাত্রের শেষ অর্থাৎ চতুর্থ প্রহরে মনি কর্ণিকায় স্নান করেন ও সেখান থেকে এক হাজার সোনার পদ্ম নিয়ে শিব পূজার জন্য তৈরী হন। তারপর তিনি যখন এক একটা ফুল নিয়ে শিবের এক একটা নামে পূজা শুরু করলেন তখন শিব তাঁকে পরীক্ষা করতে চাইলেন। তাই শিব নিঃশব্দে ঐ একহাজার পদ্ম থেকে একটা পদ্ম সরিয়ে রাখলেন। পূজার সময় একটা ফুল কম দেখে বিষ্ণু অবাক হলেন এবং কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বিচলিত হলেন কিছু সময় পর তাঁর মনে হলো যে তাকে সবাই পদ্মলোচন বলে থাকে। এই কথা মনে হওয়া মাত্র বিষ্ণু নিজ আঙ্গুল দিয়ে নিজের পদ্মের মতো একটা চোখ তুলে ফুলের ঘাটতি পুরণ করলেন। তার সঙ্গে সঙ্গে পরম শক্তি সহকারে শিবপূজা সম্পূর্ণ করলেন।
বিষ্ণুর পূজাতে সন্তুষ্ট হয়ে শিব তাঁকে ত্রৈলোক্য উপাধিতে ভূষিত করলেন। সাথে সাথে বিষ্ণুকে তাঁর শ্রেষ্ঠ ভক্ত হিসাবে স্বীকার করে নিয়ে তাকে বর চাইতে বললেন, বিষ্ণু চোখ ফিরে পেলেন। তারপর বিষ্ণু শিবকে কীভাবে তিনি দৈত্য দানবদেরকে বধ করবেন তার উপায় জানতে চাইলেন। তার উত্তরে মহাদেব বিষ্ণুকে সুদর্শন চক্র প্রদান করলেন এবং বললেন, যে কোন মহাপরাক্রমশীল দানবকে এই চক্রদ্বারা বধ করা সম্ভব। এইভাবে মহাদেব শ্রীহরিকে সুদর্শন চক্র প্রদান করে আরো বললেন যে তিনি তাঁর পূজাতে পরমতৃপ্ত তাই যে বা যারা শিবভক্ত হয়ে। বিষ্ণুকে অবহেলা করবে সে বা তারা হবে তাঁর (শিবের) সবচেয়ে বড় শত্রু। মহাদেব এও বলে। গেলেন যে সর্বাগ্রে বিষ্ণুপূজা করতে হবে তারপর শিবের পূজা করতে হবে নচেৎ শিব পূজা গ্রহণ করবেন না। এই ব্রতই বৈকুণ্ঠ চতুর্দশী ব্রত নামে পরিচিত।
ব্রতফল ঃ এই ব্রত যে সমস্ত নারী ভক্তিসহকারে পালন করে থাকে তারা খুব ভাগ্যবতী হয়ে থাকে। এছাড়াও তারা ছেলে নাতি পুতি সকলকে আনন্দে রেখে শেষ বয়সে শান্তিতে মৃত্যু মুখে পতিত হয় এবং আলোকরথে করে বৈকুণ্ঠধামে যাত্রা করে। পরলোকে এরা বৈকুণ্ঠধামে পরম সুখে কাটাতে পারে।
You May Like Also Also Like This
0 Comments